১৩ জুন-২০১০
মসজিদ মিশন ইমাম সম্মলনের আহবান
ধর্মহীন শিক্ষানীতি ও ইসলামকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকল প্রকার ভেদাভেদ ভুলে দেশের সর্বস্তরের ইমাম, আলেম ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আজ সকাল ৯.৩০মিনিটে বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের উদ্যোগে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ইমাম সম্মেলন ও সীরাতুন্নবী সা: জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন-কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন।সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন প্রফেসর ড. আবদুল মা’বুদ। সম্মেলনে প্রস্তাবনা পাঠ করেন মিশনের জেনারেল সেক্রেটারী ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী।দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন- মাওলানা মুহিউদ্দীন খান সম্পাদক মাসিক মদিনা, বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক আমীর খেলাফত মজলিম, মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী মহাসচিব ইসলামী ঐক্যজোট, মাওলানা আবুল বাশার পীরসাহেব শাহতলী ও নায়েবে আমীর ইসলামী আন্দোলন, মুফতি শামসুদ্দীন জিয়া, পটিয়া মাদরাসা, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান মহাসচিব খেলাফত আন্দোলন, ড. মাওঃ খলিলুর রহমান, লাবিব আব্দুল্লাহ, আবু তাহের নিযামী ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি, খাজা ওয়ালিউল্লাহ পীর সাহেব গাছতলী, এডভোকেট আব্দুল মোবিন, আলমগীর মুজুমদার, মাওঃ আহমাদুল্লাহ, মাওঃ মাহবুবুর রহমান, মুফতি ইসহাক, মাওঃ আবদুল আলীম, অধ্যাপক মাওঃ আবু হারিস মোল্লা, মাওঃ নাজমুস সউদ, সাঈদ আহমদ, এডভোকেট গোলাম মোস্তফা, অধ্যক্ষ মাওঃ মোশাররফ হোসাইন, মাওঃ মুস্তফা হোসাইন মাওঃ আবু হানিফ নেছারী, মুফতি মাসুদুর রহমান প্রমূখ।
মাওলানা মুহিউদ্দীন খান বলেন, মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের বিভিন্ন মসজিদের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকজনকে দিয়ে কমিটি গঠন করেছে। তিনি বলেন, আমরা এ দেশে উড়ে এসে বসিনি। এ দেশের মাটিতেই আমাদের জন্ম। সুতরাং আমরা কোন অবস্থাতেই নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা মেনে নেব না।
তিনি আরো বলেন: ধর্মহীন রাজনীতি মানুষকে গোমরাহ বানায়।
বিচারপতি আব্দুর রউফ বলেন: জীবনের সকল ক্ষেত্রে মহানবী (সা) এর আদর্শ অনুসরণ করতেই হবে।
মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, এদেশে মাদরাসা শিক্ষিতরা জাতিকে আদর্শ নাগরিক উপহার দিচ্ছে। অথচ আজ দেশে শিক্ষানীতি থেকে ইসরামী শিক্ষা ব্যবস্থা বাদ দেয়ার চক্রান্ত চলছে। তিনি বলেন যতদিন পর্যন্ত দেশের ৩ লক্ষাধিক মসজিদের মিনার হতে আল্লাহু আকবার ধ্বনিত হবে ততদিন পর্যন্ত ইসলাম বিরোধী কোন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না।
মাওলানা মোঃ ইসহাক বলেন: ইসলামের বিরোধিতা করে দাউদ হায়দার, তসলিমা নাসরিনকে দেশ ছেড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। নাস্তিক কবির চৌধুরী, রাশেদ খান মেনন, নুরুল ইসলাম নাহিদদের ধর্মহীন শিক্ষানীতি এদেশে কখনো বাস্তবায়িত হবে না। শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে গণমানুষের চাহিদার আলোকে। তিনি বলেন: করিডোর দিয়ে দেশকে ভারতের হাতে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। ইসলাম বিরুধী যে কোন তৎপরতা আমরা জীবন দিয়ে রুখবো ইনশাআল্লাহ।
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল লতীফ নেজামী বলেন- পার্বত্য অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। পার্বত্য এলাকার বাঙ্গালীরা নিজ দেশে উদ্বাস্তুর মত জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। ভারতের সাথে নানা অযাচিত বিষয় নিয়ে অসম চুক্তি করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ দেশ এবং দেশের জনগণের স্বার্থ বিরোধী।
মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী বলেন- বর্তমান ডিজিটাল সরকার কুরআন সুন্নাহর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। ধর্মহীন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর ঘৃন্য ষড়যন্ত্র করছে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা যাইনুল আবেদীন বলেন, অতীতে যারা যত বেশি ইসলাম বিরোধী কাজ করেছে ততো তাড়াতাড়ি তাদের পতন হয়েছে। যদি কোন শরীয়ত বিরোধী আইন বা কাজ করা হয় তাহলে সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে এ দেশের আলেম সমাজ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। অন্যান্য বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে নানামুখী চক্রান্ত চলছে। এর মোকাবিলায় ওলামায়ে কিরাম বিশেষ করে ইমাম ও খতীবদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সম্মেলন শেষে জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত ১০জন শ্রেষ্ঠ ইমাম ও ১০জন শ্রেষ্ঠ হাফেজকে কম্পিউটার সহ বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করা হয়। ইমাম সাহেবগণ হলেন- মুহাঃ দেলাওয়ার হোসাইন- চট্টগ্রাম মহানগরী, এ.ইউ.এম. গোলাম বারী- সাতক্ষীরা, মোঃ মোস্তফা হোসাইন- খুলনা, আবুল কাশেম গাজী- ঢাকা, মোহাম্মাদ আলী হোসেন- বরিশাল, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ-কক্সবাজার, মুহাঃ মাসউদুল আলম-রাজশাহী, ছোহাইল আহমাদ চিশতী-চাঁদপুর, মোঃ আমিনুল ইসলাম-সিরাজগঞ্জ, মোঃ মাসউদুর রহমান-ঢাকা।
হাফেজ সাহেবগণ হলেন- কামাল হোসাইন-বাগেরহাট, আনজির খানম তুত্বি-জয়পুরহাট, আল মারূফ-টাঙ্গাইল, হারুনুর রশিদ-মোমেনশাহী, তারেক মাহমুদ-লক্ষীপুর, আহমদ ছগীর-চট্টগ্রাম, ইমন হোসাইন-জামালপুর, রাকিব আহমাদ-সাতক্ষীরা, মুস্তাক আহমদ-রাজশাহী, সাইফুল ইসলাম-গাইবান্ধা।