০৯ মে-২০০৯
মিশনের উলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে দেশবরেণ্য আলেমগণ
কেবলমাত্র ইসলামের ভিত্তিতেই এদেশের জন্য একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণীত হতে পারে।
আজ বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সকাল ৯টায় আয়োজিত উলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে দেশের বরেণ্য উলামায়ে কেরাম বলেছেন- বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যূষিত অসাম্প্রদায়িক দেশ। এদেশের রয়েছে হাজার বছরের ইসলামী ঐতিহ্য। একটি সভ্য ও উন্নত জাতি বিনির্মাণে একটি স্থায়ী শিক্ষানীতির কোন বিকল্প নেই। কিন্তু আমাদের জন্য আফসোস দেশে বারবার বিভিন্ন শিক্ষা কমিশন গঠিত হলেও এখনো কোন স্থায়ী শিক্ষানীতি তৈরী হয়নি। অন্যদিকে অতীতের ন্যায় আবারও একমুখী শিক্ষার নামে দেশের ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতার উপর সেক্যুলারিজম চাপিয়ে দেওয়ার আভাস শুনা যাচ্ছে। এদেশের মানুষের জন্য কেবলমাত্র ইসলামের ভিত্তিতেই একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণীত হতে পারে এবং তা জনতার কাছে গ্রহণ যোগ্যতা পাবে। মসজিদ মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীনের সভাপতিত্বে উক্ত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলান মুহিউদ্দীন খান, সম্পাদক মাসিক মদীনা, মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক, আমীর খেলাফত মজলিস, প্রফেসর ড. মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা আহমদুল্লাহ আশরাফ, আমীর, খেলাফত আন্দোলন, মাওলানা নুরুল ইসলাম মহাসচিব, আন্তর্জাতিক মসলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়ত, মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী মহাসচিব, ইসলামী ঐক্যজোট, মাওলানা আব্দুল হাই সিদ্দিকী মেশকাত পীর সাহেব, ফুরফুরা দরবার শরীফ, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান মহাসচিব, খেলাফত আন্দোলন, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, সভাপতি আইম্মা পরিষদ, মুফতি মাওলানা আবুল কালাম মুহতামিম জামিয়া মুহাম্মদিয়া, মোহাম্মদপুর, মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন, মাওলানা আবুল খায়ের মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ ইমাম, শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান, মাওলানা মুহাম্মদ সালমান মুহতামিম, দারুর রাশাদ মাদরাসা, মিরপুর, মাওলানা আশেকুর রহমান কাসেমী মুহাদ্দিস, দারুল উলুম, মিরপুর, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম, পীরজাদা মাওলানা আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ হাসান হাজী শরীয়তুল্লাহর বংশধর, মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম, মাওলানা শাহ মুহাম্মাদ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী শর্ষিনা মসজিদ মিশনের সহ-সভাপতি মাওলানা মুফাজ্জল হোসেন খান, জেনারেল সেক্রেটারী ড.মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা আহমাদুল্লা প্রমুখ।
উক্ত সম্মেলনে বক্তারা আরো বলেন- স্বাধীনতার ৩৮ বছর অতিক্রান্ত হলেও দেশের অধিকাংশ মানুষের ঈমান-আক্বীদার সংরক্ষণ হতে পারে এমন কোন সামগ্রীক শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর কোন উদ্যোগ কোন সরকারই গ্রহণ করেনি। আর সে কারণেই আমরা উন্নত ও দূর্ণীতিমুক্ত দেশ হিসেবে আমাদেরকে গড়ে তুলতে পারিনি। যদি দেশের মানুষকে ইসলামী নৈতিকতার ভিত্তিতে গড়ে তোলা যেত তবে দেশে দূর্ণীতি আর সন্ত্রাস নির্মূলের জন্য রোড শো কিংবা চটকদার কর্মসূচীর প্রয়োজন ছিলনা। নেতৃবৃন্দ বলেন- আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা এদেশের জনগণের পৃষ্ঠপোষকতায় চলে আসছে সুদীর্ঘকাল থেকে তা বিনষ্টের জন্য সুগভীর চক্রান্ত চলছে। জঙ্গীবাদ আর সাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া তুলে ইসলামী শিক্ষা বিরোধী নীল নকশা বাস্তবায়নের ঘৃণ্য অপতৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমন একজন ব্যক্তিকে শিক্ষানীতি প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যিনি দেশের ৯০ ভাগ জনতার আক্বীদার ঐতিহ্যের প্রতি নূন্যতম শ্রদ্ধা পোষন করেননা। তাই ঈমান আক্বীদা বিরোধী কোন শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করা হলে তা জনগণ কখনো মেনে নিবেনা।
সমাবেশ থেকে সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলা হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনী ইশতেহারে কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন বা নীতি করা হবেনা মর্মে ওয়াদা করেছেন। এ ওয়াদার ব্যত্যয় ঘটলে জনতা তা কখনো স্বাভাবিকভাবে মেনে নিবেনা।