৩রা জুন, শুক্রবার-২০০৫
আওয়ামী নেতা অজয় কুমার রায় শুধু মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধেই কথা বলেননি বরং তিনি বিসমিল্লাহ এবং আল্লাহ সর্ব শক্তিমান এ সত্যকেও অস্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশ মসজিদ মিশন
বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা খলিলুর রহমান আল মাদানীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যৌথ বিবৃতিতে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছে যে, সম্প্রতি “শিক্ষাক্ষেত্রে সংকট ও করনীয়” শীর্ষক আওয়ামী লীগের গোল টেবিল বৈঠকে বক্তাগন মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। এ সমস্ত বুদ্ধিজীবী নামের কলঙ্ক ব্যক্তিরা মাদরাসা শিক্ষাকে প্রগতি বিরোধী বলে আখ্যায়িত করেছেন। ধর্ম নিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী আওয়ামী নেতা অজয় কুমার রায় শুধু মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধেই কথা বলেননি বরং তিনি বিসমিল্লাহ এবং আল্লাহ সর্ব শক্তিমান এ সত্যকেও অস্বীকার করেছেন। এ সমস্ত জ্ঞান পাপীদেরকে জাতীর নিকট নিঃশর্ত ভাবেক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। মাদরাসা শিক্ষা রাসূলে খোদা (সাঃ) এর আনিত আল কুরআন ও তার জীবনাদর্শ আল হাদীসের শিক্ষা এ শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজী গনিত, বিজ্ঞান, ভূগোলসহ অন্যান্য বিষয় ও শিক্ষা দেয়া হয়। এ শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত একটি সন্তান ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সাধারন শিক্ষায়ও পারদর্শিতা অর্জন করে। সুতরাং সমস্ত জাতীয় জন্য এ শিক্ষা ব্যবস্থাই হওয়া দরকার একমাত্র শিক্ষাা ব্যবস্থা। আর বর্তমান জোট সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে আওয়ামী নেতাদের মাদরাসা শিক্ষা বিরোধী বক্তব্য জাতীকে হতবাক করেছে। মসজিদ মিশন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। নারী জাতীর কলঙ্ক জ্ঞান পাপী রোকেয়া কবির নামের আরেকজন আওয়ামী নেত্রী বলেন- মাদরাসা শিক্ষা কোন ধর্মীয় শিক্ষা নয়। এটি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করার মত। মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা যদি ধর্মীয় শিক্ষা হয় তবে এ ধর্ম কেউ গ্রহন করবেনা। আল্লাহ রহমত করলে পানি হয় এভাবে বিজ্ঞান শিখানো হবে না। এইচ টু তে পানি হয় এভাবেই বিজ্ঞান শিখাতে হবে। মূলত ইহা নাস্তিক মুরতাদদের উক্তি।
মসজিদ মিশন এর তীব্র সমালোচনা করে বলেন জোট সরকার দেশ ও জাতীর স্বার্থে এ সমস্ত নাস্তিকদের প্রতারনায় পা না দিয়ে ইসলামী শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষার জন্য সবোর্চ্চ বরাদ্ধ প্রদান করবেন বলে জাতি আশা করে। আর অনতিবিলম্বে ফাযিলকে ডিগ্রী ও কামিলকে মাষ্টার্সের মান প্রদান করে মাদরাসা শিক্ষাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিবেন বলে জাতীয় ফতোয়া বোর্ড একান্ত ভাবে কামনা করে। বিবৃতিদাতা হলেন- সিনিয়র সহ সভাপতি মাওঃ এ,কিউ, এম ছিফাতুল্লাহ, মাওঃ মোফাজ্জল হোসাইন খান, অধ্যাপক মাওঃ মুজিবুর রহমান, মাওঃ অধ্যাপক সাদুল্লাহ, যুগ্ন সম্পাদক মাওঃ আহমাদুল্লাহ, মাওঃ মাহবুবুর রহমান, মাওঃ শাহ জালাল শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদাক মাওঃ আ,ন,ম, রশীদ আহম্মদ, নুরুল ইসলাম মল্লিক, মাওঃ ছিরাজুল ইসলাম, আলহজ্ব একরামুল হক, আলহাজ্ব শামসুদ্দিন আহমদ, কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আব্দুর রব, অধ্যক্ষ মাওঃ আবু তাহের, আহমাদুল্লাহ ভূইয়া, ড. হাসান মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন, চট্টগ্রাম মহনগরী সভাপতি মুফতি মাওঃ মামুনুর রশদী নুরী, খুলনা মহানগরী সভাপতি অধ্যক্ষ মাওঃ রহমাতুল্লাহ, রাজশাহী মহনগরী সভাপতি মাওঃ মোবারক করিম, বরিশাল মহনগরী সভাপতি অধ্যাপক মাওঃ শাহদাত হোসাইন, সিলেট মহানগরী সভাপতি মাওঃ আলী হায়দার, সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মাওঃ অধ্যক্ষ আব্দুল বারী, যশোর জেলা সভাপতি মুহাদ্দিস শোয়াইব প্রমুখ।