০২রা মে, সোমবার-২০০৫
ইমাম সাহেবদেরকে অত্যন্ত সচেতনভাবে সকল য়ড়য়ন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে।
অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন
আজ সকাল ৯টায় বাংলাদেশ মসজিদ মিশন গাজীপুর জেলা শাখার ইমাম প্রশিক্ষণ কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অধ্যাপক মাওঃ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়। প্রশিক্ষন কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন মসজিদ মিশনের সভাপতি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এর ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন। বিকাল ৩.৩০মিঃ থেকে ইমাম প্রশিক্ষণ সমাপনী ও সনদ বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক তুখর ছাত্র নেতা মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ফজলুল হক মিলন। বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করেন মিশনের সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান আলমাদানী, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা আহমাদুল্লাহ, মিশনের গাজীপুর জেলা সেক্রেটারী মাওলানা নুরুল্লাহ মাদানী, মাওলানা আফতাব উদ্দীন, মাওলানা আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন ইমাম সাহেবদেরকে অত্যন্ত সচেতনভাবে সকল য়ড়য়ন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে। ইমামদের নেতৃত্বে আদর্শ সমাজ গঠন সম্ভব। সকল ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ড দুর করার জন্য ইমামগণ মুসল্লিদের মাঝে সঠিক দিক নিদের্শনা দিবেন।
মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেনঃ ইমামগণ হলেন সমাজের নেতা, শুধু মসজিদের নেতা হয়ে থাকলে তাকে বলা হয় ছোট ইমাম। মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে যত ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে তার মোকাবিলায় ইমামদেরকে সচেতনতার সাথে কাজ করতে হবে। মসজিদের খুতবাহ শুনে সারা দুনিয়াতে অমুসলমানগণ ইসলাম গ্রহন করছেন। আমাদের মসজিদের জুমায়ার খুতবাতে তেমনি ভাবে তথ্যভিত্তিক বক্তৃতা দিয়ে জনগনের মাঝে গনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। কোন ক্রমে বাতিলের সাথে আপোষ করা যাবেনা।
মিশনের সেক্রেটারী জেনারেল বলেন – যে ইমামের নেতৃত্বে সলাত আদায় হয় সে ইমামের নেতৃত্বে সমাজের সকল কাজ সম্পাদিত হতে হবে। সামাজিক শৃংখলা নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য এবং শিরক বিদায়াত ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার জন্য ইমামদের নেতৃত্বে মসজিদ কেন্দ্রীক সমাজ গঠনের বাস্তব কর্মসূচী গ্রহন করতে হবে। ইসলামের সকল যুগেই মসজিদ ছিল মুসলিম উম্মাহর হেদায়াতের মারকাজ ও সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্র বিন্দু।
মাওলানা আহমাদুল্লাহ বলেন – নামাযের শিক্ষাকে যদি আমরা সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারি তাহলে কুলুষমুক্ত সমাজ কায়েম হবে। প্রশিক্ষণ শেষে ২৪৮ জন ইমাম ও খতীবদেরকে পুরষ্কার প্রদান করেন প্রধান অতিথি।