২২ ফেব্র“য়ারী’ ০৯
ভাষার স্বকীয়তা রক্ষা এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় মাতৃভাষাকে সার্বজননী করতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আন্তর্জাতিক ভাষা সাহিত্যিক ড. কাজী দীন মোহাম্মাদ বলেছেন মাতৃভাষা বাংলা ভাষা আল্লাহ তায়ালার সেরা দান। ভাষার মর্যাদা রক্ষায় এদেশের ছাত্র জনতা রক্ত ঝরালেও মাতৃভাষা দিবস আন্তর্জাতিকতা লাভ করলেও আমাদের ভাষার স্বকীয়তা রক্ষা এবং বাংলাকে শিক্ষার প্রধান মাধ্যম বানিয়ে এর সার্বজনীনতা সৃষ্টিতে আমরা যথেষ্ট তৎপরতা দেখাতে পারিনি। তাই ভাষার স্বকীয়তা, স্বাতন্ত্র রক্ষা এবং এর সার্বজনীনতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বস্তরের দায়িত্বশীল মহলকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি গতকাল বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের উদ্যোগে মসজিদ মিশন মিলনায়তন কাটাবনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার আলোচনা পেশ করেন দৈনিক নয়া দিগন্ত সম্পাদক জনাব জনাব আলমগীর মহিউদ্দীন। আরো বক্তব্য রাখেন- মসজিদ মিশনের সহসভাপতি যথাক্রমে মাওলানা মুফাজ্জাল হোসাইন খান, অধ্যাপক মাওলানা মুজিবুর রহমান, জেনারেল সেক্রেটারী ড. খলিলুর রহমান আল-মাদানী, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা আহমাদুল্লাহ, মাওলানা আতাউল্লাহ, মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা রফিকুর রহমান আল মাদানী, মাওলানা মুশাররফ হোসাইন, কেন্দ্রীয় মুবাল্লিগ মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন- ভাষা আন্দোলনের ছোট রূপটা স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেয়। যা পেয়েছি তা রক্ষা করতে হবে। অন্যদের মাঝে নিজেদের অস্তিত্ব বিলীন করা যাবে না। একটি ভাষা শুধু কথা বলার মাধ্যমই নয়। বরং তা একটি সভ্যতার ধারক। আমাদের সভ্যতা-সংস্কৃতি লালনে বাংলা ভাষাকে আমরা সমৃদ্ধ করতে পারিনি। তার বিপরীতে আমদের ভাষায় ভিন সংস্কৃতির আগ্রাসন চলছে। চলছে মুক্তবুদ্ধি চর্চার নামে অশ্লীলতা, যৌন উম্মাদনা। তাই কলম সৈনিকদেরকে প্রকৃত জীবন সাহিত্য রচনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে আলেম সমাজকে দিক নির্দেশকের ভূমিকায় অবতীর্ন হতে হবে।
প্রধান বক্তা জনাব আলমগীর মহিউদ্দীন বলেন-মাতৃভাষা একটি জাতির দর্পণ স্বরূপ। মিডিয়া একটি জাতির বিবেক। ভাষাই যে কোন মিডিয়ার প্রধান মাধ্যম। কিন্তু মিডিয়ার সে ভাষায় যদি সততা, দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ, জবাবদিহিতা, সহমর্মিতা না থাকে তবে তা সত্যিই দেশের জন্য বিপদ জনক হয়ে ওঠে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ যাইনুল আবেদীন বলেন- একুশে উদযাপনের যে নিছক আনুষ্ঠনিকতা আছে সে গন্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ভাষার উৎকর্ষ সাধনে, স্বকীয়তা সংরক্ষণ ও জাতীয় ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রকৃত লালনে আলেম সমাজ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন।