বাংলাদেশ মসজিদ মিশন

বাংলাদেশ মসজিদ মিশন

মসজিদ হলো নৈতিক চেতনা, আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশের কেন্দ্র। এটি সমাজকে দুর্নীতি, অসততা এবং অপকর্ম থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ মসজিদ মিশন প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি ছিল এ দেশের বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠীর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো। বাংলাদেশ, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে, দুই লক্ষেরও বেশি মসজিদ এবং চার লক্ষেরও বেশি ইমাম ও মুয়াজ্জিনের এক বিশাল মানবসম্পদ নিয়ে গঠিত। এই সুবিশাল জনবল এবং অবকাঠামোগত সুবিধা মানব উন্নয়নমূলক যেকোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এক বিশাল শক্তি। এই সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করে এবং সমাজে মসজিদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিবেচনা করে, যা নৈতিক চেতনা, আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের পাশাপাশি সমাজকে দুর্নীতি ও অপকর্ম থেকে মুক্ত করতে পারে—এই লক্ষ্য নিয়েই সংস্থাটি যাত্রা শুরু করে।বাংলাদেশ মসজিদ মিশন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যা ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে নিবন্ধিত। মরহুম মাওলানা আলাউদ্দিন আল-আযহারীর নিবেদিত নেতৃত্বে এবং বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও ধর্মীয় নেতাদের আন্তরিক সহযোগিতায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি দেশের মানুষের সামাজিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এটি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, সমাজের কেন্দ্রবিন্দুতে মসজিদকে রেখে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা সম্ভব।

ভিশন

মসজিদের মাধ্যমে একটি প্রগতিশীল, নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ গঠন করা, যা কুরআন ও হাদিসের আলোকে পরিচালিত হবে এবং দুর্নীতি, অন্যায় ও অপকর্ম থেকে মুক্ত থাকবে।

মিশন

(i) মসজিদে নববী-এর আলোকে মসজিদকে ইসলামের একটি জীবন্ত কেন্দ্রে পরিণত করা, যা মানুষের সব ধরনের সমস্যা ও দুর্দশার সমাধানে কাজ করবে।

(ii) জনগণের আর্থ-সামাজিক ও নৈতিক উন্নয়ন সাধন করা।